নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২৮ লক্ষ খরচ করিয়ে প্রার্থী করেনি দল! নজিরবিহীন অভিযোগ করলেন বিজেপি ওবিসি মোর্চার সহ সভাপতি মদন বিশ্বাস। টিকিট না পেয়ে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ শানান ওবিসি মোর্চার এই নেতা। তাঁর অভিযোগ, প্রার্থীর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও দলীয় নেতারা সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। মদন বাবুর অভিযগের তীর মূলত রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে লক্ষ্য করে। তাঁর অভিযোগ ব্যার্থতার সম্পুর্ণ দায় দেবশ্রী চৌধুরীর। দেবশ্রী চৌধুরী অর্থের বিনিময়ে বাম পরিবারের সদস্যকে প্রার্থী করেছে!
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের তোলাবাজরা পদ্ম প্রতীকে প্রার্থী! আরও ৯ আসনে প্রার্থী দিচ্ছে আদি বিজেপি।
বিজেপি ওবিসি মোর্চার সহ সভাপতি মদন বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন, বিজেপির দলীয় নেতারা তাঁকে প্রার্থী করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই আশ্বাসের পর তিনি ২৮ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন দলের সংগঠন মজবুত করার জন্যে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় মদনের নাম নেই। তিনি জানিয়েছেন, দল যেভাবে প্রার্থী মনোনীত করেছে তাতে জেলার ৯টি আসনের মধ্যে একটি আসনেও বিজেপি জয়ী হবে না। তিনি নিজেও নির্দল হয়ে লড়বেন। রায়গঞ্জ কেন্দ্রে তাঁর লড়ার কথা। ২৮ লক্ষ খরচ করিয়ে নকি তাঁকে প্রার্থী করেনি দল!
এদিকে রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থী করেছে শিল্পপতি কৃষ্ণ কল্যানীকে। বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষনার পরে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটে। বিজেপিকে এই জেলায় শূন্য হাতে ফিরতে হবে বলে দাবি মদনবাবুর। তাঁর কথায়, দলীয় কর্মীদের প্রার্থী না করে বহিরাগতদের প্রার্থী করায় জেলার ৯টি আসনের মধ্যে একটি আসনও জিততে পাবে না বিজেপি প্রার্থীরা। মদন জানিয়েছেন, দল বিশ্বাসঘাতকতা করায় দলীয় কর্মীরা তাঁকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে বলেছেন। এবং তিনি দলীয় কর্মীদের ইচ্চাপূরনে লড়বেন নির্দল প্রার্থী হয়ে।
এদিকে তৃণমূলের তোলাবাজরা পদ্ম প্রতীকে প্রার্থী! এই অভিযোগ সামনে রেখে পদত্যাগের হিড়িক অব্যাহত। প্রার্থী বদলের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে তুমুল আন্দোলন চালাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভের তীব্রতা যেন ক্রমশ চরম আকার নিচ্ছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। প্রার্থী ঘোষণার পর জেলায় জেলায় অধিকাংশ কেন্দ্রে অসন্তোষ শুরু হয়ে যায়। ভাবা হচ্ছিল দিল্লীতে শাহি তলবের পর হয়তো রাজ্য নেতাদের হস্তক্ষেপে সেই বিক্ষোভ কমবে। কিন্তু তাতো হয়নি বরং বেড়েছে বিক্ষোভের উত্তাপ। সেই উত্তাপের আঁচ গিয়ে পড়েছে একেবারে বিজেপির সদর দপ্তরে।