নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিহার মডেলেই বাংলা দখলের ছক বিজেপির? আব্বাসের সাথে বৈঠকে ওয়েইসি। একুশের রণনীতি ঠিক করতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল, বিজেপি ছাড়াও বাংলার আসন দখলের দিকে ‘নজর’ রয়েছে ওয়েইসির। আগেই মিম প্রধান ওয়েইসি জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে এবার প্রার্থী দেবেন তিনি। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জলঘোলা কম হয়নি। রাজ্যের অবিজেপি দলগুলি একযোগে সোচ্চার হয়েছিল বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই বাংলার ভোটের ময়দানে নামছে মিম।
আরও পড়ুনঃ ২১ দিনে ২ কোটি টাকার চিকিৎসা। স্বাস্হ্য সাথীতে সাফল্যের খতিয়ান দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
কারণ বঙ্গের রাজনীতিতে ৩৩ শতাংশ মুসলিম ভোট বড় ফ্যাক্টর। অন্তর ৬০টি আসন মুসলিম অধ্যুসিত। সেই আসনগুলিতে খাতা খোলার কার্যত সম্ভাবনাই নেই গেরুয়া ব্রিগেডের। সম্প্রতি বিজেপি-র আভ্যন্তরীণ সমীক্ষাতেও এই আশঙ্কা উঠে এসেছে। তাই রাজনৈতিক মহলের ধারনা ৬০টা মুসলিম অধ্যুসিত আসনে ভোট বিভাজনের রাজনীতি না করতে পারলে ক্ষমতায় আসা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে বিজেপির। সে কারনেই ওয়েইসি কে আসরে নামিয়েছে বিজেপি।
রবিবাসরীয় সকালে বাংলায় এসে মিম প্রধান পা বাড়ালেন ফুরফুর শরিফের পথে। সেখানে গিয়ে বৈঠক করলেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে। আর তার জেরেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে সম্ভবত আব্বাসের সঙ্গে জোট চাইছেন মিম প্রধান। কারন শুধু ভোট কাটার জন্য নয়, দলের খাতা খুলতেও চান মিম প্রধান বলে ধারণা বিশিষ্ট মহলের। আর তাই বাংলায় সঙ্গী খুঁজছেন তিনি। আসাদুদ্দিন ওয়াইসির দলটি বিহারে বিধানসভা ভোটে সাফল্য পেয়েছে। এ বার নজরে বাংলা। এর আগেও ওয়েইসি বাংলায় এলে লাভ হবে বিজেপিরই। কারণ, তাঁর দল মিম তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংকে থাবা বসিয়ে মুসলিম ভোটের একটা বড় অংশ কেটে নিতে পারে। যা আখেরে গেরুয়া শিবিরকে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ দেবে। এমনটাই বলেছিলেন মমতা সরকারের গ্রন্থাগারমন্ত্রী ও জমিয়তে উলেমা-ই হিন্দের বঙ্গ সভাপতি সিদ্দিকুলা চৌধুরী।
বিহার মডেলেই বাংলা দখলের ছক বিজেপির? উল্লেখ্য, বিহারে ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। জিতেছেন ৫টি আসনে। ভোটের হার ১.২৪ শতাংশ। বিহারে বেশ কিছু আসনে ভোট কেটে তারা বিজেপি বিরোধী মহাজোট প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ হয়েছে বলেও পর্যবেক্ষকদের বিশ্লেষণ। এ বার এমআইএম এ রাজ্যেও ভোটে লড়তে চায়। তাতে বিজেপির সুবিধা হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ বাংলায় বহু আসনে নির্ণায়ক এই সংখ্যালঘু ভোট। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে রাজ্যের শাসকদল, এমনকী বাম-কংগ্রেসও।