নজরবন্দি ব্যুরোঃ ফের উত্তপ্ত বসির হাট। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক বিবাদ। একাধিক জায়গা থেকে পাওয়া যাচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর। এবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার এক পুলিশ কর্মী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বসিরহাটের সীমান্তবর্তী শাঁকচুড়া গ্রামে। এখন সারা গ্রাম জুড়ে ভয়ের আবহ তৈরি হয়েছে। তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জ্বলছে বসিরহাট, গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুনঃদিল্লির হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট, মামলা লড়বেন কপিল সিব্বল
বসিরহাটের এই ঘটনায় অভিযগের তীর তৃনমূলের দিকে।জানা গেছে, তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী প্রভাত সর্দার। এদিকে ঘটনায় প্রতিবাদে টাকি রোড রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের দাবী, ঘটনার মূল অভিযুক্ত সিরাজুল বেশ। তাঁরা সিরাজুলের কড়া শাস্তি চাইছেন। এমনকি তৃণমূলের যুব সংগঠনের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁদের কেউ নয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী এক নেতা বলেন, “রাত ন’টা নাগাদ সিরাজুল বেশের অফিস থেকে আমাদের ছাত্র নেতা বুলবুলের ওপর হামলা করা হয়।“ অবশ্য উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুজ মণ্ডল দায় ঠেলেছেন দুষ্কৃতীদের দিকে। তিনি বলেন,”দুষ্কৃতীদের আখড়া। অভিযুক্ত আমাদের দলের কেউ নন। দুষ্কৃতীরা এক জায়গায় হয়েছিল। ওখানকার লোকই থানায় ফোন করেছিল। পুলিশের সঙ্গেই আমাদের ছাত্রনেতা বুলবুল ছিল। সে সময় বুলবুলকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ওই ছাত্রনেতাকে সরাতে গিয়েই পুলিশ গুলি খায়”।
তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ফের উত্তপ্ত বসিরহাট, গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন নেহাতই গ্রাম্য বিবাদ। এর সঙ্গে পার্টির কোন যোগ নেই। তিনি বলেন, “ঘটনাটা আকস্মিক এবং এটা হওয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। স্থানীয় কোনও বিবাদ থেকে হয়ে থাকতে পারে। আমাদের এখানে অন্য কোনও গ্রুপিজম নেই। যেমন ওদের সুকান্ত, দিলীপ, লকেটের এক একটা করে গোষ্ঠী রয়েছে। আমাদের একটাই পরিবার। সেই পরিবারে যদি কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, সেটা দেখতে হবে। এটা দেখতে হবে প্রশাসন কতটা তৎপরতার সঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে”।