নজরবন্দি ব্যুরোঃ এখনও তেমন ভয়াবহ পরিস্থিতি না হলেও গুটিগুটি পায়ে শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তানের পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ক্রমশ অর্থনীতি ডুবছে ওপার বাংলার। আর এই কারণেই সিঁদুরে মেঘ ঘনাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা উদ্বেগের কারণ। ফোরেক্স রিজার্ভের পরিমাণের ক্রমশ কমতে কমতে বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে।
আরও পড়ুনঃ এবার রাখি উৎসব পালন করবে কোলকাতা মেট্রো! খাওয়ানো হবে লাড্ডুও
যার ফলে বাংলাদেশকে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড অথবা আইএমএফের কাছে হাত পাততে হয়েছে। পেট্রোপণ্যের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধিই প্রথম শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংকটের ইঙ্গিত দিয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে হঠাৎই গোতাবায়া রাজাপক্ষের দেশে লক্ষনীয় হারে বাড়তে থাকে জ্বালানির দাম। কিন্তু চিনা তহবিলের অর্থে নানা প্রকল্প তৈরি ও ঋণগ্রহণের ইত্যাদির মাঝে দেশের এই বিপুল মূল্যবৃদ্ধির প্রতি তেমন আমল দেননি প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ।
ঠিক তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশের পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে। কারণ এক ধাক্কায় ৩০-৪০ টাকা জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। হাসিনা সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের আর্থিক সঙ্কটেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। তবে শ্রীলঙ্কার পথেই এগোচ্ছে শেখ হাসিনার দেশ? যদিও শ্রীলঙ্কার মতো রাজনৈতিক অস্থিরতার কোনও ইঙ্গিত নেই বাংলাদেশে।

তবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে সেদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় কমতে কমতে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা ডলার ধরে রাখতে নিজেদের বিখ্যাত বস্ত্রশিল্প থেকে উৎপন্ন অধিকাংশ জিনিসই কম দামে রফতানি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। দেশীয় জিনিস দেশে থাকছে না।
বাড়ছে তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম, শ্রীলঙ্কার পথেই কি বাংলাদেশ?
বাংলাদেশের ফোরেক্স রিজার্ভ বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে, যেমনটা এর আগে শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কিংবা পাকিস্তানের এখন যেমন অবস্থা বাংলাদেশও সেই দিকেই এগোচ্ছে। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই ভাবে চলতে থাকলে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।