৬ বছর পর মুক্তমনে বাংলাদেশ, মৃত্যুদণ্ড পেল ব্লগার অভিজিৎ-এর ৫ হত্যাকারী।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ৬ বছর আগে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিনি খুন হন। বইমেলাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই ঘটে নৃশংস ঘটনা। সেই হত্যা মামলার আজ রায় দিল আদালত। সুবিচার পেলেন অভিজিৎ। ৬ বছর পর মুক্তমনে বাংলাদেশ, মৃত্যুদণ্ড পেল ব্লগার অভিজিৎ-এর ৫ হত্যাকারী।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় এলে ৭ দিনে দাবি পূরণ! মুকুলের কথায় অনশন প্রত্যাহার পার্শ্বশিক্ষকদের।
অভিজিতের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। তিনিও গুরুতর আহত হন। রাফিদা ব্যাখ্যা করেছিলেন সেদিনের ঘটনা। তিনি বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে একুশে বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশপথে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। রাত পৌনে নটা নাগাত সেখানে হাজির হয় দুই যুবক। দুজনের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র। তাঁরা নির্বিচারে কোপ মারে অভিজিতের সারা শরীরে। বাঁচাতে গেলে তাকেও আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা।
হাসপাতালের নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষন পরেই মারা যান অভিজিৎ। মাত্র ৪২ বছর বয়েসে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেদিনই রাত সাড়ে ১০টা নাগাত মারা যান তিনি। অভিজিৎ এর মাথায় ৪টি কোপ মারা হয়েছিল। পাশাপাশি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল বাম হাতের বুড়ো আঙুল। এই ঘটনায় অভিজিতের বাবা ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতদিন পর আজ সেই হত্যা মামলার রায় শোনাল বাংলাদেশ আদালত।
৬ বছর পর মুক্তমনে বাংলাদেশ, মৃত্যুদণ্ড পেল ব্লগার অভিজিৎ-এর ৫ হত্যাকারী। মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আদালত। পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আরও এক অভিযুক্তকে। মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, জঙ্গিনেতা আকরাম হোসেন, আবু সিদ্দিকি ওরফে সাকিব, মোজাম্মেল হোসেন এবং আরাফত রহমান কে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। সাথে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে শফিউর রহমান ফারাবিকে। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাধারণ মুক্তমনা মানুষ।