নজরবন্দি ব্যুরো: ভোটের আগে তৃণমূল থেকে দল ছাড়ছেন একেক জন নেতা মন্ত্রী। দলে থাকাকালীন বিভিন্ন বিষয়ে চুপ থাকলেও, দলত্যাগের পর একে একে অভিযোগ তুলছেন দলের বিরুদ্ধে। আর বন দপ্তরের নিয়গ থেকে শিক্ষকের নিয়োগ, সবকিছুতেই মুখ পুড়ছে রাজ্যের শাসক দলের। রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগের পরই দাবী করেছিলেন বনদফতরের নিয়োগে হয়েছে দুর্নীতি। চাকরির নামে ৮৩ লক্ষ টাকার প্রতারণা! এবার ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল। ভোতের আগে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসক দল। তার মধ্যেই দ্রুত বিচার চেয়ে মমতাকে চিঠি অশোক ভট্টাচার্যর।
আরও পড়ুনঃ পামেলা মাদক কান্ডে এবার কোলকাতা পুলিশ নোটিস ধরাল বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে
চাকরির নামে ৮৩ লক্ষ টাকার প্রতারণা! আর তাতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বেই ফের অস্বস্তিতে শাসক দল। রাজ্য শাসকদলের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বহুবার টাকার বিনিময় সরকারি চাকরি প্রদান বিশেষত শিক্ষক নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ফের একই অভিযোগ উঠলো ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে,চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে মিতালী রায় অন্তত ১৩ জনের থেকে ৮৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রাথমিক শিক্ষক ও জলসম্পদ বিভাগে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ধুপগুড়িতে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল বিধায়কের কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। অন্যদিকে একই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন শহরজুড়ে বিজেপি সমর্থকরা তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল বের করেন।
এবার সেই সংবাদকে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। উপুরিউক্ত ঘটনার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। চিঠিতে অশোকবাবু রাজ্যর শাসক দলের এই অবস্থায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, একজন বিধায়ক সরকারি চাকুরী দেবার নাম করে যেভাবে বেআইনি পথে ঘুষ বা অর্থ নিতে পারেন সেই বিধায়কের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সেই প্রসঙ্গে অশোক বাবু রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের প্রতিদিনের অরাজকতার দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেছেন ।
দ্রুত বিচার চেয়ে মমতাকে চিঠি অশোক ভট্টাচার্যর। গোটা রাজ্য জুড়ে বেকারত্বদের এই হাহাকেরর মাঝে যেয়াবে শাহস দলেই একজন বিধায়ক হয়ে মিতালি রায় বেকার যুবকদেওর থেকে রি বিশাল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তার বিরুদ্ধে তিনি চিঠির শেষাংশে লিখেছেন, ” আপনার কাছে আমার অনুরোধ, ধূপগুড়ি থেকে নির্বাচিত বিধায়ক মিতালি রায়ের বিরুদ্ধে মত দ্রুত সম্ভব দলীয় ও প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নিন। ভবিষ্যতে যাতে বেকারদের এইভাবে প্রতারিত না হতে হয়, তা সুনিশ্চিত করুন।”