নজরবন্দি ব্যুরোঃ গরু পাচার মামলায় এই মুহুর্তে তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু সেই মামলা ৪ মাস পিছিয়ে দিল বিচারপতি দীনেশ শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ। তাই মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আরও চার মাস জেলে থাকতে হবে কেষ্টকে।
আরও পড়ুনঃ Mamata Banerjee: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ধর্নায় বসলেন মমতা, চলবে টানা ৩০ ঘন্টা
এদিন ইডির কাছে আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, কেন তাঁরা জামিনের বিরোধিতা করছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অনুব্রতকে নিজের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আগেই আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু একাধিক মামলা করার কারণে তাঁকে হেফাজতে নিতে দেরি হয়। পাল্টা অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর তরফে বলা হয়েছে, ইডি জামিনের বিরোধীতা করলেও কেন অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এখনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট জমা দেওয়া হয়নি।

দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, কেন জামিন চাওয়া হচ্ছে? তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাই মামলার শুনানি ৪ মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়। ২৭ জুলাই ফের মামলার শুনানি করবে দিল্লি হাইকোর্ট। ততদিনই জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে। এদিকে ইডিকে চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের নতুন রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই রিপোর্টের কপি পাঠাতে হবে অনুব্রতর আইনজীবীকে।
আরও চার মাস জেলে থাকতে হবে কেষ্টকে, জামিন পেলেন না

গত বছরের ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে ইডি। এরপর থেকে আসানসোল জেলেই ছিলেন অনুব্রত। এর পর ৭ মার্চ অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিহাড় জেলে রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে আসানসোলে ফিরতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন কেষ্ট।