নজরবন্দি ব্যুরোঃ গরুপাচার কাণ্ডে তদন্তে নামার পর অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিয়ে শুরু হয় গ্রেফতারির পর্ব। সায়গলের কাছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পাওয়া যায়, সেই সম্পত্তির উৎস খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে একাধিক নাম। সেই নামের ভিত্তিতে অনুব্রত মণ্ডলকে গতকাল গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ১০ দিনের হেজাফতে রয়েছেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা।
আরও পড়ুনঃ ‘অনুব্রত কি এই জেলেই আসবে?’ প্রেসিডেন্সি জেলের রক্ষীদের প্রশ্ন পার্থর!
গতকাল একদিকে যখন সিবিআই অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করছে তখন ইডি-র দল হানা দেয় বীরভূমের নাম করা পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতে। সেই সূত্রেই ইডি এবং সিবিআই এর স্ক্যানারে উঠে এসেছে একাধিক নাম। টুলু মণ্ডল তো বটেই, অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন সেই তালিকায়। সিবিআই এর সন্দেহ গরুপাচারের টাকা সংরক্ষিত রয়েছে এই সব ব্যবসায়ীদের কাছে।
সায়গলকে জেরা করে সিবিআই জানতে পারে টুলুর নাম। আর টুলুকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং বোলপুর পুরসভার একজন কাউন্সিলারের নাম। টুলুর সাথে অনুব্রতর সম্পর্ক একটাই ভাল ছিল যে, তৃণমূলের কেউ না হয়েও দলীয় সভায় আসর আলো করে অনুব্রতর পাশে বসে থাকতেন তিনি। সেই টুলুকে জেরা করে বীরভূম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের বাড়িতেো হানা দিয়েছে ইডি।
সিবিআইয়ের তালিকায় বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর, একাধিক ব্যবসায়ী!
সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন বীরভূম জেলার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ওই মেডিক্যাল কলেজেও বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে অনুব্রতর। এই প্রসঙ্গে বলা যায়, কিছুদিন আগেই এই মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক লেনদেন এবং মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছে, শুধু তিনি নন। সায়গল ছাড়াও অনুব্রত মন্ডলের নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে আরও কয়েকজন সরাসরি জড়িত আছে গরুপাচার কাণ্ডের সাথে।