নজরবন্দি ব্যুরো: বাম-কংগ্রেস জোটের আসনরফা এখনও চূড়ান্ত নয়, বাম-কংগ্রেস জোট ও আসনরফা নিয়ে এখনও খোলসা করে কিছু বললেন না কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি জানালেন এখনও এ বিষয়ে চূডান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আজ নন্দীগ্রাম সফর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা। এমনকি সাংবাদিক বৈঠকে শাসকদলকে আক্রমণ করতেও ছাড়লেন না অধীর।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালে কেমন হয়, বিরোধীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা
বহরমপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে অধীর চৌধুরি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, জোট নিয়ে তাদের কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা একটা বড় প্রক্রিয়া, তাই জোট নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। তাছাড়া যেখানে প্রয়োজন সেখানে এক সঙ্গে কর্মসূচি করছি তাছাড়াও কংগ্রেস ও বাম আলাদা কর্মসূচি করছে।
এদিন তৃণমূল বিধায়ক ও নেতাদের করোনা টিকা নেওয়া প্রসঙ্গে অধীর বাবু জানিয়েছেন, যারা বিধায়ক হয়, তারা মানুষের স্বার্থের আগে নিজেদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। তাই যে করোনা ভ্যাকসিন ফ্রন্ট লাইন হেলথ ওয়ারর্কারদের জন্য, ভারতবর্ষের নিরাপত্তা বাহিনীদের জন্য এবং বয়স্ক মানুষের জন্য সেই সুযোগ বিধায়ক ও নেতারা নিচ্ছেন৷ এই থেকেই প্রমাণিত হয়, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের অগ্রাধিকার নেই, নেতাদের অগ্রাধিকার আছে।
বাম-কংগ্রেস জোটের আসনরফা এখনও চূড়ান্ত নয়, এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে অধীর বলেন, “যে অধিকারী পরিবারের দৌলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে পরিচিত হয়েছিল, সেই অধিকারী পরিবার আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নেই। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাই নন্দীগ্রামে যেতে হচ্ছে। এই কথা অস্বীকার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মনে করে আমার জন্য কেউ কিছু করেনি আমি সব একাই করেছি সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঔদ্ধত্যের পরিচয়।“
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের করা কৃষি আইন সম্পর্কে অধীর বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে যদি কৃষি আইন বাতিল হয় খুব ভালো। সুপ্রিম কোর্ট চেষ্টা করছে সমাধান করার। যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই কাজ হয় তা হলে সেটা খুব ভালো। তবে কৃষক আন্দোলনের স্বার্থে এই আইন যাতে বাতিল করা হল সেটা দেখা উচিত।