নজরবন্দি ব্যুরো: নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার মামলার তদন্তে দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি ও সিবিআই ময়দানে নেমে পড়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, অনুব্রত মণ্ডলের মত তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়েই এক বিস্ফোরক দাবি করলেন অধীর চৌধুরী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথ্যেই তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁদের গ্রেফতার করেছে। কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইডিকে যা বলেছি সব জেনে যাচ্ছে শুভেন্দু! বিস্ফোরক অভিষেক
নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় এনে বহরমপুর সাংসদের দাবি, “২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইডিকে তথ্য দিয়ে এসেছিল খোকাবাবু। সেই তথ্যানুযায়ী তৃণমূলের একের পর এক নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সেদিন খোকাবাবু ৭৩ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে আছেন বলেছিলেন। সরকার করে দেব বলেছিলেন। কিন্তু কথা রাখতে পারেননি খোকাবাবু। তাই ইডি, সিবিআইয়ের চাপ বাড়ছে।” কংগ্রেস সাংসদের আরও দাবি, আজ নয়তো কাল এই সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও অভিষেককে বিঁধেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “কমিশনের অফিস থেকে নয়, খোকাবাবুর অফিস থেকে ভোট পরিচালনা করা হবে। খোকাবাবুর অফিস থেকে যে নির্দেশ আসবে সেইমত কাজ করবে নির্বাচন কমিশন।” কংগ্রেস সাংসদের এহেন মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে পিছুপা হয়নি শাসক দল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “হয় অধীর প্রলাপ বকছেন নয়তো বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত তৈরি করেছেন।” এমনকি অধীর চৌধুরীকে ব্যর্থতম সভাপত্তি বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠির জেরে নাম জড়িয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই ইতিমধ্যেই তাঁকে তলব করেছিল। নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার পর টানা ১২ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেককে। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে তলব করে ইডি। আগামী ১৩ জুন তাঁকে সিজিও কমপ্লক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Abhishek Banerjee-র তথ্যেই তৃণমূলের নেতারা গ্রেফতার! নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ
