নজরবন্দি ব্যুরোঃ কয়লা পাচার মামলায় ধৃতের জেরার নাম করে যে চার্জশিট নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে, তা নিয়ে এবার বৃহত্তর চক্রান্তের অভিযোগ তুলল তৃণমূল। নীল কালিতে লেখা অনুপ মাঝির বয়ান কতটা সত্য? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভিতরের কেউ আসল জেরার তথ্য বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল।
তৃণমূলের অভিযোগ, চার্জশিটের কপি যদি আদালত থেকে তোলা হয় তবে তা অবশ্যই জেরক্স হতে হবে। কিন্তু যে কপি হাতে মিলেছে, সেটা নীল কালিতে লেখা। এখানেই সন্দেহ শুরু হয়েছে তৃণমূলের। সূত্রের খবর, এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও বিজেপির যোগসাজশের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কয়েকদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, মোট ২৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। যার মধ্যে ১০০০ কোটি টাকা প্রভাবশালী নেতার কাছে গেছে। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, যিনি এই রাজ্যে কার্যত প্রশাসন, পুলিশ ও শাসকদলকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
এরপরেই শুভেন্দুর বক্তব্য, আগামী ১২ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্ত ব্যক্তির মামলা সুপ্রিম কোর্টে নির্দিষ্ট হয়েছে। তাই আজ পুরো বলছি না। ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ সালে সুভাষ আগরওয়াল কোম্পানির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা সেই ব্যক্তির কাছে গেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। পরে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই চার্জশিট। পরে হলদিয়ার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ অভিযোগ তোলেন কূণাল ঘোষ।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও বিজেপির যোগসাজশের অভিযোগ, বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছেন অভিষেক
কুণাল ঘোষের বক্তব্য, বিজেপি একতরফাভাবে চার্জশিটের পাতার নাম করে মিথ্যা প্রচার করছে। একটি প্রশ্নের উত্তর ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমি এবার তিন নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর ওদের উপহার দিলাম। শুধুমাত্র এবি অর্থে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেখানে নাম রয়েছে, সেটাকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।