নজরবন্দি ব্যুরোঃ প্রায় সাড়ে ৯ ঘন্টা ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর অভিষেককে জেরা করেছেন তিনজন উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। শনিবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে নিজাম প্যালেসে পৌঁছেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধে সাড়ে আটটা নাগাত খবর আসে তিনি নিজাম থেকে বেরোচ্ছেন। একজন এসপি র্যাঙ্কের অফিসার, একজন ডিএসপি র্যাঙ্কের অফিসার ও এই মামলার তদন্তকারী অফিসাররা তাঁকে মোট তিন দফায় জেরা করেছেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ অভিষেককে সিবিআই এর তলব, কী বললেন সুকান্ত-সেলিম-শুভেন্দু?
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে। সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা পরই সিবিআই-এর তরফে নোটিস দেওয়া হয় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায় ছিল, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই বা ইডি। পাশাপাশি, তাঁকে ২৫ লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে লিভ পিটিশন করছেন বলে উল্লেখ করেছেন চিঠিতে।

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় শনিবার সকাল ১১টায় সিবিআই তলব করেছিল অভিষেককে। নির্ধারিত সময়ে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরেও পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। তার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক ঠিকানায় ইডির হানা শুরু হয়েছে। যাকে ‘কাকতালীয়’ ঘটনা বলে কেউই মনে করছেন না। কারণ, ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ইডির তল্লাশির ঠিকানাগুলি দক্ষিণ কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের।
নিজাম প্যালেস থেকে বেরচ্ছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, শেষ হল CBI-এর জিজ্ঞাসাবাদ
দক্ষিণ কলকাতা এলাকায় অভিষেকের বাড়ি। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। শনিবার ইডির প্রথম ‘নিশানা’য় ছিলেন অভিষেকের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (যিনি ‘কালীঘাটের কাকু’ বলেই সমধিক পরিচিত)। বেহালার ফকিরপাড়া রোডে সুজয়ের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক ঠিকানায় শনিবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডির তদন্তকারী দল। পাশাপাশি শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।