‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু অধিকারী’র ভূত তাড়া করছে ‘, কটাক্ষ মান্নানের

নজরবন্দি ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু অধিকারী’র ভূত তাড়া করছে, বিধানসভা ভোটে নিজের কেন্দ্র বদল করার ব্যাপারে সোমবার এই কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান । এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম-এ ঘোষণা করেছেন, তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধানসভা ভোটে লড়বেন। এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাম-কংগ্রেস জোটের আসনরফা এখনও চূড়ান্ত নয়, জানালেন অধীর
তখন তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নে শুভেন্দু অধিকারীর ভূত তাড়া করছে। শুভেন্দুর আতঙ্কে ভুগছেন তিনি। আর তাই জন্য নিজে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। এদিন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান আরও বলেন, লোকসভা ভোটের পরেই এটা ঠিক হয়ে গিয়েছিল তিনি দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের কেন্দ্র থেকে আর জিততে পারবেন না। আর এই কারণেই তাঁর জন্য এক সুরক্ষিত আসনের দরকার ছিল। তার খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর সে জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন আবদুল মান্নান। তার মন্তব্য, রাজ্যে এতই উন্নয়ন হয়েছে যে তার ঝড়ে উনি উড়ে চলে গিয়েছেন। একথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভাল করেই জানেন।
তিনি দুটি আসনে দাঁড়ান আর পাঁচটি আসনে, তিনি সব জায়গাতেই হারবেন। আর বাংলার মানুষ এবার ঠিক করে নিয়েছেন যে তৃণমূলকে একেবারে হারিয়ে ছাড়বেন। তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্মরণ করে বলেন। সেখানে প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গে তিনি গিয়েছিলেন। এরপর শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেন। আর তারপরে তার আন্দোলন ছিনিয়ে নিয়েছে। সিঙ্গুর আন্দোলনকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের আন্দোলন শুরু করেছিলেন। এদিন এমনই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।
‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু অধিকারী’র ভূত তাড়া করছে ‘, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের সভা করেন সেখান থেকে তিনি ঘোষণা করেন এবার তিনি নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা ভোটে লড়বেন। তাঁর কথা, নন্দীগ্রাম আমার মনে আছে। নন্দীগ্রাম আমার জন্য লাকি। উল্লেখ্য, রাজ্য রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্ব নন্দীগ্রামের আন্দোলন।