নজরবন্দি ব্যুরোঃ এই মাসে হচ্ছেনা ভোট ঘোষণা, আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি ডানলপের সাহাগঞ্জে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। করবেন একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস। তারপর ২৮শে ফেব্রুয়ারি ফের বাংলায় আসার সম্ভাবনা তাঁর। সেদিনও হতে পারে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস। সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস তাই স্বাভাবিক ভাবেই পিছিয়ে যেতে পারে ভোটের দিন ঘোষণার তারিখ। এদিকে তারপর ৭ই মার্চ ব্রিগেডে রাজনৈতিক সভা করতে ফের আসবেন মোদি।
আরও পড়ুনঃ টেটের মেধা তালিকায় বেনিয়ম, হাইকোর্টে ৬ টি মামলার শুনানি সোমবার।
বাংলার রাজনীতির আবেগের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে ব্রিগেড। নির্বাচন, সম্মেলনের আগে ব্রিগেড ভরে সভা করা বাংলা রাজনীতির অঙ্গ ছিল এক সময়ে। বামেরা ক্ষমতায় থাকা কালীন নিয়ম করে সভা হত ব্রিগেডে। সভা থেকে মেহনতি মজদুর মানুষদের উদ্যেশ্যে ডাক দিত বাম নেতৃত্ব। রাজ্যে বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসার ঠিক আগেই ব্রিগেডে সভা করেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৯ এও ফের সভা করেন তিনি। এই মুহুর্তে বাংলায় ফের শক্তি নিয়ে ফিরে আসছে বামেরা। আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা আছে তাদের। তবে বাংলা রাজনীতিতে ‘ব্রিগেড নিয়ম’ পালন করছে বিজেপিও। ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই ব্রিগেডে সভা করেছিল বিজেপি। সেই সভায় জনসমাগম যা হয়েছিল তার থেকে বিতর্ক হয়েছিল অনেক বেশি। গতবার ফ্লপ শো’র গ্লানি ঘোঁচাতে ৭ই ফের ব্রিগেডে সভা করছে বিজেপি। সভার মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২২শে এবং ২৮শে রাজ্যে আসছেন তিনি।
এই মাসে হচ্ছেনা ভোট ঘোষণা, মোদীর ২৮শে রাজ্যে আসা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের দিনখন নিয়ে জল্পনা। কারন সূত্রের খবর মোদী ২৮শে রাজ্যে আসছেন একাধিক সরকারি প্রকল্পের সূচনা করতে। কিন্তু ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর তা আর করা যায়না, সুতরাং ধরে নেওয়া হচ্ছিলো মোদীর ২৮এর সভার পরই ঘোষণা হবে ভোটের দিনক্ষণের। এসবের মধ্যেই ৭ এ ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের আগে নির্বাচনের প্রচারের জন্য বাংলায় দফায় দফায় আসছেন কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীরা।
২ সপ্তাহে খোদ প্রধানমন্ত্রী বাংলায় আসছেন ৩ বার। বাংলায় লোকসভার ভোটের আগেও দফায় দফায় ১৭টি সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। সেই সুত্র ধরেই বিধানসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বলেই মনে করছে অনেকে। তবে বাংলায় ব্রিগেড বলতে মানুষ এখনও এককথায় বোঝে বাম ব্রিগেডের কথা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাম ব্রিগেডের সপ্তাহ ঘুরতেই বিজেপির এই ব্রিগেড কী পরিমাণ সাড়া ফেলবেন বাংলায় তার দিকে তাকিয়ে আছে বাকি রাজনৈতিক দলগুলি।