নজরবন্দি ব্যুরোঃ বুধবারই চন্দননগরে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে ‘গোলি মারো’ স্লোগান নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চলছে চাপানউতোর। আর তারপর থেকেই চন্দননগরের স্লোগান কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। ফলে এই কান্ডেই বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ এবার করোনার ভ্যাকসিন নেবেন প্রধানমন্ত্রী! জল্পনা তুঙ্গে
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির একটি সমাবেশ থেকে সিএএ বিরোধীদের দিকে এইভাবেই আক্রমণ শানানো হয়েছিল। তারপরেই দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। বিভিন্ন মহল থেকে এই স্লোগানের বিরুদ্ধে শুরু হয় প্রতিবাদ। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় একের পর এক রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান চলাকালীন ‘গোলি মারো’ স্লোগান ওঠায় রাজনৈতিক মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের শান্তি মিছিলেও ‘বাংলার গদ্দারোকো গোলি মারো শালেকো’ স্লোগান শোনা যায়। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর স্লোগান ইস্যুতে সরগরম হুগলির চন্দননগর।
বুধবার চন্দননগরে বিজেপির রোড শো তে অংশগ্রহণ করেন শুভেন্দু আধিকারী। এই সভাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতারাও। লরিতে চড়ে দিব্যি ফুল ছুঁড়ে, হাত নাড়িয়ে রোড শো চলছিল। আচমকাই বেশ কয়েকজন ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেন। তাতেই পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। বিড়ম্বনায় পড়েন বিজেপি নেতারা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ধরনের শব্দবন্ধনী কে সমর্থন করে না বিজেপি। যে বা যারা মিছিলে এই ধরনের কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এরপরই সন্ধ্যে হতেই চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।